স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বিএসইসির বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেয়ারবাজারে কোন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে আর কোনটি হবে না, তা নিয়ে ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কেন কাজ করতে পারবেন না- প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, বিনিয়োগ পণ্য স্টক এক্সচেঞ্জের আর সিদ্ধান্ত দেবে আরেকজন- তা হয় না। তাঁর মতে, শেয়ারবাজার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ এ ক্ষেত্রে পোষ্ট অফিসের কাজ করবে। আর তালিকাভুক্তির বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবে ডিএসই। ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা (ডিমিচ্যুয়ালাইজেbanchero orlando jersey ajwebcode secretsummits.com banchero orlando jersey drcastelar micah parsons jersey banchero orlando jersey Iowa State Football Uniforms secretsummits.com wasserdichte trekkingschuhe herren Switzerland detroit lions jersey 49ers jersey wasserdichte trekkingschuhe herren Switzerland reinforce-msk.ru Florida state seminars jerseysশন) হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল এটাই।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডিএসইর ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ আয়োজিত ২০২৩ সালের শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউসকে পুরস্কার প্রদান এবং এশিয়া সিকিউরিটিজ ফোরামের (এএসএফ) সদস্যপদ প্রাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন না। তবে সংস্থার তিন কমিশনার, ডিএসইর কর্মকর্তারা এবং বিপুল সংখ্যক ব্রোকার অংশ নেন।

বিএসইসির দিকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু বাজার বাড়বে, সূচক বাড়বে- এমন দায়িত্ব যারা নেন বা এমন দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করেন, তাদের তিনি বলতে চান যে, এমন করলে বাজার এগিয়ে যেতে পারবে না। একটা দল আছে, যারা শেয়ারবাজারকে ছোট করে রাখতে চায়। তারা চায়, অল্প কিছু শেয়ারের যাতে দাম বাড়ে। স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে বিএসইসির বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউসকে পুরস্কৃত করায় আগামীতে অন্যরাও এ পুরস্কার পেতে উৎসাহী হবে

এবং লেনদেন বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অনেক ছোট। দেশের অর্থনীতিকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো অবস্থান এখনও তৈরি করতে পারেনি। ব্যাংক থেকে টাকা না এলে শেয়ারবাজার এখনও চলে না।

রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা কমানো প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পথে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চ্যালেঞ্জের দিকটি বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা সামনে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকার চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবে না। প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় টিকে থাকতে নিজেদের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার শহরকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। অথচ আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি করতে চাই। গ্রামে যে সঞ্চয়ের টাকা পড়ে আছে, তা বিনিয়োগে আনার সুপারিশ করেন তিনি। কমিশনার আব্দুল হালিম বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এত ছোট যে, অন্য কোনো দেশের বাজারের সঙ্গে তুলনা করার মতো নয়। তার ওপর ২০১০-১১ সালের খারাপ অধ্যায়ের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট আছে। কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, সমস্যাসংকুল অবস্থার মধ্যে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নিয়েছিল। সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এ কমিশন অনেক কাজ করছে, যার সুফল আগামী দুই-এক বছরে মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ডিএসইর চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, শেয়ারবাজারকে এখনও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি। দেশের বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় ব্যাংক ঋণের টাকায়। শেয়ারবাজার থেকেও যে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা আছে, তা কেউ নজরে আনেন না। প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ শেয়ার কেনাবেচায়

শীর্ষ ২০ ব্রোকারেজ হাউসকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগকে স্বাগত জানান ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ টি এম তারিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ব্রোকারই শেয়ারবাজারের মূল স্তম্ভ। তাদেরকে কেন্দ্র করেই পুরো বাজার চলে। ডিবিএর এ উদ্যোগে ব্রোকারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই উপকৃত হবে। ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান,

বর্তমানে ঢাকার শেয়ারবাজারে ২৫০টির বেশি ব্রোকারেজ হাউস ব্যবসা করছে। ২০২৩ সালে শেয়ারবাজারে যত টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, তার অর্ধেকটাই হয়েছে শীর্ষ ২০টি ব্রোকারেজ হাউস থেকে। গত জানুয়ারিতে এশিয়া- প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩০ দেশের ব্রোকারদের সংগঠন এশিয়া সিকিউরিটিজ ফোরামে ডিবিএ সদস্যপদ পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য গৌরবের। জাপান, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত, তুরস্কের মতো দেশের ব্রোকারদের সংগঠন এ ফোরামের সদস্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *