ফরচুন সুজের কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে

বরিশালে জুতা প্রস্তুতকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান ফরচুন সুজের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আগুন লাগে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফরচুন সুজ কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বিসিক শিল্প নগরীর মধ্যে থাকা ফরচুন সুজ ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় তলায় ওয়্যারহাউজ কক্ষে (স্টোর) আগুনের সূত্রপাত হয়। ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখে শ্রমিক-কর্মচারীরা ডাক-চিৎকার দেয়। এ সময় ফ্যাক্টরির কর্মীরা নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপদে বের করাসহ ওয়্যারহাউজ থেকে যাবতীয় কাঁচামাল সরানোর কাজ শুরু করে তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে দুইজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এখনো ছয়টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বলিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, দোতালায় কাঁচামালে আগুন লেগেছিল। বড় ধরনের ক্ষতির আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছিল বিষয়টির তদন্ত চলছে।

মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ফরচুন সুজ কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, কারখানার যে রুমে (স্টোর রুমে) পারমিশন ছাড়া প্রবেশের অনুমতি নেই, সেই রুমেই প্রথমে আগুন লাগাটা রহস্যজনক। তাছাড়াও সেখানে বৈদ্যুতিক লাইন নেই। তিনি এ অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *