নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেটা সংগ্রহ, ফাইল করা ও প্রচারের জন্য একটি সমন্বিত ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এখন প্রতিষ্ঠান দুটির প্ল্যাটফর্ম কার্যক্রম শুরুর অপক্ষোয় আছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলে ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ চালু করবে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।
এর আগে প্ল্যাটফর্মটি চালুর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ চালু করতে প্রস্তুতির বিষয়ে বিএসইসিকে জানিয়েছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানেরে কাছে প্রস্তুতির বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই ও সিএসই।
ডিএসইর পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসইসি থেকে দেওয়া চিঠির বিষয়বস্তু অনুসারে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, ডিএসই ডিজিটালভাবে তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। সফ্টওয়্যারটির পাইলট অপারেশন ২০২১ সালের জুলাই শুরু হয়েছিল। তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ইস্যুকারী ডিএসইর সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগের জন্য সফ্টওয়্যারটি ব্যবহার করছেন। ডিএসই সফ্টওয়্যারটির কার্যক্রম আগামী ২০ থেকে ৩০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্দেশনা এবং অনুমোদন প্রয়োজন।
অপরদিকে, সিএসই থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সিএসই গত ২৯ জুন ডিজিটাল জমা এবং প্রচার প্ল্যাটফর্ম চালুর বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএসইসিকে চিঠি দিয়েছিল। যেখানে সিএসই প্ল্যাটফর্মের বেশিরভাগ মডিউল তৈরি করেছে এবং সে বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে চায় বলে জানিয়েছিল। সে বিষয়ে বিএসইসি চলতি মাসে একটি সময় নির্ধারণও করে দিয়েছে। তাই, সিএসই সোমবার ৭ (নভেম্বর) পর্যন্ত সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। যাতে বিএসইসির মতামতের বিবেচনাসহ ডিজিটাল জমা এবং প্রচার প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সময়সূচিসহ একটি কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে পারে।
এর আগে গত মাসে ডিএসই ও সিএসইকে ডেটা সংগ্রহ, ফাইলিং ও প্রচারের জন্য একটি সমন্বিত ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। তাদেরকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম চালুর বিষয়ে বিএসইসিতে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারহোল্ডারদের রিপোর্ট, ঘোষণা, করপোরেট অ্যাকশন, আর্থিক প্রকাশ, মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) এবং বস্তুগত তথ্য, অভিযোগের প্রকাশনা এবং প্রচারসহ তালিকাকরণ এবং ধারাবাহিক তালিকার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ‘ডিজিটাল সাবমিশন ও ডেসিমিনেশন প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহার করবে। এছাড়া, ইস্যুয়ার কোম্পানিগুলোর অন্যান্য সম্মতি এবং জমা দেওয়া তথ্য ও প্রকাশনা প্রচার করা হবে এই প্ল্যাটফর্মে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি জারি করা বিএসইসি’র আদেশে উল্লেখ রয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই মাসিক ভিত্তিতে শেয়ারহোল্ডিংয়ের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিগুলোর সব তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে পরবর্তী কোনো কাজে তা ব্যবহার বা যাচাই করা যায়। তাই, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে সমন্বিত অনলাইন ডেটা সংগ্রহ, তথ্য জমা দেওয়া এবং প্রচার প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রস্তুতি সম্পর্কে সাত দিনের মধ্যে কমিশনকে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ যদি ডিজিটাল তথ্য জমা ও বিতরণ প্ল্যাটফর্ম চালু করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে কমিশন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫ সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।