নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করলেও তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী নয় বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অধিকতর মনিটরিং এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়। বৈঠকে বিএসইসি এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৪২টি বড় বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করলেও এর মধ্যে ১২টি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত। শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে তারা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করলেও অধিকতর মনিটরিং এবং তথ্য প্রদানে আইনগত বাধ্যবাধতার কারণ দেখিয়ে তালিকাভুক্ত হতে চায় না।
জানা গেছে, কমিটির গত বৈঠকে দেশের শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে। সেখানে সংসদীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, আইএমইডি বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার জানান, আইন সংশ্লিষ্ট কিছু ধারা সংশোধন করে অনাগ্রহী কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত করার জন্য কমিশন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে শেয়ারবাজারে ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত পুঁজি সঞ্চায়নের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে ইক্যুইটি ও বন্ডের অনুপাত ১:১৫।
বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য দরকার পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। যার জন্য প্রয়োজন পুঁজি। এ পুঁজি সংগ্রহের মাধ্যম হচ্ছে শেয়ারবাজার। দেশের শেয়ারবাজার তেমন শক্তিশালী না হওয়ায় ব্যাংক থেকেও অর্থ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
সংসদ সচিবালয় কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীরেন শিকদার এবং আদিবা আনজুম মিতা।