নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মুনাফা গত বছরের তুলনায় ১৬.৭ শতাংশ কমে ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মূল আন্ডাররাইটিং ব্যবসা থেকে রাজস্ব মারাত্মকভাবে কমে যাওয়া এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় ক্রমাগত বাড়তে থাকাই এই মুনাফা পতনের প্রধান কারণ।
সেনাবাহিনী পরিচালিত এই সাধারণ বীমা কোম্পানিটি তাদের ফায়ার, মেরিন, মোটর ও বিবিধ বীমা বিভাগ থেকে তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফার ৬৭ শতাংশ পতন হয়েছে, যা এই প্রান্তিকে ৮৫ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। সাধারণ বীমাকারীদের প্রতিবেদন কাঠামো অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যবসায়িক খাতের আয় প্রিমিয়াম আয় থেকে ক্লেইম ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাদ দিয়ে পৃথকভাবে দেখানো হয়।
কোম্পানিটির তথ্য অনুসারে, সুদ এবং ডিভিডেন্ড আয় থেকে সামান্য লাভ হওয়া সত্ত্বেও ক্লেইম নিষ্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ত্রৈমাসিক ফলাফল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপরন্তু, তাদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ব্যয় ৫.৭৪ শতাংশ বেড়ে ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে, যার ফলে কর-পূর্ববর্তী মুনাফা ৩১ শতাংশের বেশি কমে ৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে কোম্পানির শক্তিশালী আয় থাকা সত্ত্বেও এমন নেতিবাচক ফলাফল বিনিয়োগকারীদের জন্য বিস্ময়কর ছিল।
তবে, আশার কথা হলো—কোম্পানির ৯ মাসের সম্মিলিত মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি, যা ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। এছাড়াও, কোম্পানির ক্যাশ জেনারেশন বা নগদ প্রবাহের উন্নতি হয়েছে; প্রতি শেয়ারের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো গত বছরের একই সময়ের ৪ টাকা ৮৮ পয়সা থেকে বেড়ে এই প্রান্তিকে ৫ টাকা ৬৮ পয়সা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি শেয়ারের নিট সম্পদ মূল্যও গত ডিসেম্বরের ২৫ টাকা ১৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২৭ টাকা ৭৬ পয়সা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারদর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এক বছর যাবত কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ টাকা থেকে ৪৮ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের ১৩ জুলাই কোম্পানিটির শেয়ার দরে হঠাৎ উল্লম্ফন শুরু হয়। সেদিন কোম্পানিটির শেয়ার ৪৪ টাকায় কেনাবেচা হয়। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে । ১৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর টানা বেড়ে ৬২ টাকার উপরে উঠে যায়। এরপর কিছুটা দাম সংশোধন হয়। বুধবার (২২ অক্টোবর) শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। শেয়ারটি নিয়ে একটি গোষ্টি সাম্প্রতিককালে কারসাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

