তলানিতে ১১ কোম্পানির শেয়ার, ক্রেতা নেই বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধারাবাহিক দরপতনে এমনিতেই বিনিয়োগকারীদের লোকসান বাড়ছে। তার উপর শেয়ারবাজারে এমন কিছু কোম্পানি আছে, যেগুলোর শেয়ারদর টানা কমতে কমতে এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেও সেই শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না; আবার দর ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

রোববার (১২ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে—সূচক বড় পতনে গেলেও লেনদেনের অঙ্ক কিছুটা বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানির দরপতন সর্বাধিক, যেগুলো বিক্রেতা সঙ্কটে পড়ে ‘হল্টেড’ হয়ে গেছে।

১১ কোম্পানি হলো— বিআইএফসি, পিপলস লিজিং, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ফাস ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন ঘটেছে বিআইএফসির। কোম্পানিটির শেয়ারদর আজ ৩০ পয়সা বা ৯.৩৮% কমে দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সায়।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পিপলস লিজিং, যার শেয়ারদর ১০ পয়সা বা ৯.০৯% কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকায়।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ পয়সা বা ৮.৫১% কমে দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সায়।

অন্যদিকে, এক্সিম ব্যাংকের দর কমেছে ৩০ পয়সা বা ৭.৬৯%, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১০ পয়সা বা ৭.৬৯%,জিএসপি ফাইন্যান্সের ২০ পয়সা বা ৭.৪১%, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১০ পয়সা বা ৭.১৪%, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০ পয়সা বা ৬.৯০%, ফাস ফাইন্যান্সের ১০ পয়সা বা ৬.৬৭%, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১০ পয়সা বা ৬.৬৭%, এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ১০ পয়সা বা ৫.৫৬%।

এতে শেয়ারগুলোর নতুন দর দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে—৩ টাকা ৬০ পয়সা, ১ টাকা ২০ পয়সা, ২ টাকা ৫০ পয়সা, ১ টাকা ৩০ পয়সা, ২ টাকা ৭০ পয়সা, ১ টাকা ৪০ পয়সা, ১ টাকা ৪০ পয়সা ও ১ টাকা ৭০ পয়সা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *