নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ১৮ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি বাতিল করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
গত ২৭ অক্টোবর ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় নেয়া এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গত রোববার থেকে। একবার পদোন্নতি দিয়ে আবার তা বাতিল করায় কর্মকর্তাদের মাঝে বিরাজ করছে অসন্তোষ।
পদোন্নতি বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছেন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) থেকে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি পাওয়া তিন জন হলেন- সৈয়দ আল-আমিন রহমান, সাইদ মাহমুদ যোবায়ের ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।
সিনিয়র ম্যানেজার থেকে এজিএম পদে পদোন্নতি পাওয়া ৭ জন হলেন- মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন রেজা, মো. বজলুর রহমান, কামরুন নাহার, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ পাঠান, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, সৈয়দ ফয়সাল আব্দুল্লাহ ও মোহাম্মদ আহসান হাবিব।
ম্যানেজার থেকে সিনিয়র ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পাওয়া ৫ জন হলেন-ফারহানা শরিফা, সাদাত মারুফ হাসনায়েন, শরিফ গিয়াস উদ্দিন আলম, মো. মশিউর রহমান চৌধুরী ও মামুন-উর-রশিদ।
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ থেকে ডেপুটি ম্যানেজার পদে পদোন্নতি পাওয়া তিন জন হলেন- মো. আব্দুল লতিফ মিয়া, মো. সফিকুল আলম ও মো. দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগ উঠেছে, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নীতিমালা ভেঙে এই পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে। এতে পদ অবনতির কর্মকর্তা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ডিএসইর কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের উদ্দীপনা ফেরাতে একযোগে ৯৫ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি দিয়েছিলেন তারিক আমিন। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হন পরিচালনা পর্ষদের অনেকে। অভিযোগ আছে, ডিএসইর সংক্ষুব্ধ পরিচালকরা তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বিষয়টি মানতে না পেরে পদত্যাগ করেন সাবেক এমডি।
ডিএসইর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়ার প্রতি আক্রোশ থেকেই এই পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে। তিনি দায়িত্বে থাকাকালে যাদের কাজে আস্থা রাখতেন বেছে বেছে তাদের পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।
পদত্যাগের পর তারিক আমিন ভূঁইয়া বিএসইসিতে পাঠানো এক চিঠিতে দাবি করেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন নীতিমালা মেনেই তিনি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছিলেন। নীতিমালা মেনে কাজের সুযোগ পেলে তিনি আবার ফিরতে চান। কিন্তু তাকে সেই সুযোগ না দিয়ে অনেকটা তড়িঘড়ি করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।