আর্থিক প্রতিবেদন তথ্যের ঘাটতিতে ব্যাখ্যা কেয়া কসমেটিকসের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে তথ্যের ঘাটতি পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিবেদনে তথ্যের ঘাটতি সম্পর্কে ব্যাখা চেয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির এক কর্মকর্তার সই করা এক চিঠিতে আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্যের ঘাটতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে কেয়া কসমেটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠিটি ইস্যু করেছে।

চিঠিতে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের কোম্পানির ভ্যাট রিটার্ন এবং রপ্তানি প্রক্রিয়া আদায় সংক্রান্ত সার্টিফিকেট, পাওনা অর্থের পরিমাণের সঙ্গে উল্লেখিত বছরে মজুদ করা মালের যথাযথ হিসাব চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখিত বছরে সন্দেহজনক দেনা এবং পাওনার সঞ্চিতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে কমিশন। এছাড়া, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের অন্যান্য তিন প্রতিষ্ঠান কেয়া স্পিনিং মিলস, কেয়া কটন লিমিটেড এবং কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সম্পদ, দেনা এবং মূলধনের ব্যাপারেও ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। সিকিউরিটিজ আ্যন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যাখা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এ বিষয়ে কেয়া কসমেটিকসের কোম্পানি সচিব মো. নূর হোসেন বলেন, ‘কমিশন থেকে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সব তথ্যের ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনের চাওয়া সব তথ্যের ব্যাখা দিয়ে দেব।’

এক হাজার ১০২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড এ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করছে ২০২০ সালে একবার। লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *