আগ্রহের শীর্ষে কাগজ খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের পুঁজিবাজারে শুধু প্রধান সূচক নামমাত্র বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও কমেছে। এদিন লেনদেন ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সূচকের বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাত। দর বৃদ্ধির তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ এবং সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। অপরদিকে উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের বিমুখ এবং শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ছয়টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে এবং একটির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে দর বেড়েছে দুই শতাংশ। এ খাতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৬টির দর বেড়েছে, ৩১টির কমেছে এবং বাকিগুলো অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ খাত। খাতটিতে লেনদেন হওয়া চারটি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দুটির দর বেড়েছে এবং একটির দর অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা সেবা খাতে শেয়ার বেড়েছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, বিবিধ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে এক শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিরামিক খাতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল বস্ত্র, প্রকৌশলী, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাত।

অপরদিকে লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ শতাংশ লেনদেন হওয়া খাদ্য খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার ডিএসইতে ৬৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৬২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২২৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৬১ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৭টি এবং কমেছে ১১০টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৬৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ৪৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৮২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৪৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক ৯ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট ও সিএসসিএক্স সূচক ৯ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে ও ১১ হাজার ৫৭ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ০০৪ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩২৪ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে ও এক হাজার ১৬০ দশমিক ৫০ পয়েন্টে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *