আইসিবি’র এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়াত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৩১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে নিবন্ধিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইউনিভার্সাল ফাইনান্সিয়াল সলিউশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমগীর ফারুখ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হামজা আলমগীর ও পরিচালক (ইউএফএস), ইশরাত আলমগীর, আলিয়া হক আদুদলমগীর, সৈয়দা শেহরীন হোসেন, সৈয়দা মেহরীন রহমান, মাহিদ হক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মো. তারিক মাসুদ খান, মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী ও মোসাম্মত উম্মে ইসলাম সোহানা।

একই প্রতিষ্ঠানের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মো. মমিনুল হক, ব্যবস্থাপক মো. সাকিব আল ফারুক, হেড অব ফান্ড অপারেশন মো. হাফিজুর রহমান রাজিবকেও আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে (আইসিবি’র আসামিরা হলেন- আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেকুল আলম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক তালেব হোসেন, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুব আলম। এছাড়া অডিট ফার্মে আহমেদ জাকির অ্যান্ড কোং এর কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাবেদ আলী মৃধা, রহমান মোস্তফা আলম অ্যান্ড কোং এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুল হক রিংকু, আর আই এন্টারপ্রাইজের মালিক ফখরুল আলম, ভ্যানগার্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাসলিমা রহমান, মাল্টিম্যাক্স ইন্টারন্যাশনালের এমডি শারিক আহমেদ এবং তানজিন ফ্যাশনস লিমিটেডের এমডি এ আই এম মাহাবুবুল মুজিবকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম বিনিয়োগ দেখিয়ে ঋণ পরিশোধ না করে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ দেখিয়ে ১৪৮ কোটি টাকা, শেয়ার বিক্রির ৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ফি বাবদ ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *