নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় নতুন যুগের সূচনা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর থাকা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫’ বাতিল করে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে নতুন ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিস) রুলস ২০২৫’-এর খসড়া।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বিএসইসি’র ৯৭৭তম কমিশন সভায় এই গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
সভা শেষে বিএসইসি পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েই এই নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন এটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
নতুন খসড়া নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের আগে বিএসইসি সংশ্লিষ্ট স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশ গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া হবে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও বিনিয়োগবান্ধব।
এছাড়া, প্রস্তাবিত রুলসে ইস্যুয়ার কোম্পানি, নিরীক্ষক ও ইস্যু ম্যানেজারদের ভূমিকা ও দায়দায়িত্ব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে তাদের কার্যক্রমে বাড়বে দায়বদ্ধতা, পেশাগত সততা ও স্বচ্ছতা— যা সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করছে কমিশন।
বিএসইসি আশা করছে, নতুন এই রুলস কার্যকর হলে আইপিওর ভ্যালুয়েশন ও প্রাইসিং প্রক্রিয়ায় গুণগত পরিবর্তন আসবে। ন্যায্য মূল্যে (Fair Pricing) শেয়ার নির্ধারণের মাধ্যমে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।

