
টানা ছয় কর্মদিবসে ১৮৬ পয়েন্ট পতনের পর শেয়ারবাজারে বাজেটকেন্দ্রিক প্রণোদনার আশায় তিন দিনে ৭৪ পয়েন্টের উত্থান দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গতকাল সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণার পর আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজার আবারও নেতিবাচক ধারায় ফিরে যায়। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রায় ২৫ পয়েন্ট কমে যায়, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সূচকের পতন ও লেনদেনের ভাটা
আজ লেনদেনের শুরুতে বাজার নেতিবাচক জোনে চলে যায়। যদিও পরবর্তীতে এটি কিছুটা উত্থান প্রবণতায় ফেরে এবং এক পর্যায়ে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে লেনদেন হয়। তবে বেলা ১২টার পর বাজার আবারও পতন প্রবণতায় নেমে আসে, যা দিনশেষে আরও তীব্র হয়। ফলে দিন শেষে ডিএসইর সব সূচকেরই পতন হয়েছে।
লেনদেনের ক্ষেত্রেও আজ পতন দেখা গেছে। গতকাল যেখানে ডিএসইতে ২৭৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল, সেখানে আজ তা কমে মাত্র ২২৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সিএসই’তে মিশ্র প্রবণতা
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অবশ্য মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। সিএসই’র ৫টি সূচকের মধ্যে ৩টি সূচক ইতিবাচক দেখা যায়, যা ডিএসই’র তুলনায় ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। তবে সিএসই’তেও লেনদেনে ভাটা লক্ষ্য করা গেছে, যা বাজারের সামগ্রিক দুর্বলতার একটি অংশ।
প্রত্যাশিত বাজেট প্রভাবের অভাব
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক প্রণোদনার প্রস্তাব থাকলেও, তা বাজারে তাৎক্ষণিক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা হয়তো আরও সুনির্দিষ্ট এবং বড় ধরনের সংস্কারের প্রত্যাশায় ছিলেন, যা পূরণ না হওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। এছাড়া, বাজেটে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। যে কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বাজেট নিয়ে হতাশার মধ্যেই ছিল।
শুভ ইসলাম/
RELATED POSTS
View all