বুধবার থেকে ২ শতাংশ সাকিট ব্রেকার কার্যকর: শেখ শামসুদ্দিন

পুঁজিবাজা‌রের টানা দরপত‌নের কার‌ণে বি‌নি‌য়োগকারী‌দের মা‌ঝে আত‌ঙ্কের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। এতে ক‌রে বাজা‌রে সেল প্রেসার বে‌ড়ে গেছে। যার কার‌ণে বাজা‌রে বড় দরপতন চলছে। এরই মা‌ঝে বাজা‌রে সা‌র্কিট ব্রেকার নির্ধার ক‌রে দি‌য়ে‌ছে বাংলা‌দেশ সি‌কিউ‌রি‌টিজ অ‌্যান্ড এক্স‌চেঞ্জ ক‌মিশন (‌বিএসই‌সি)। মুলত নতুন সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ বুধবার থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের প্রেক্ষিতে নতুন সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ বুধবার থেকে কার্যকর করা হবে। তবে শেয়ার দর বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের ন‍্যায় দীর্ঘমেয়াদি হবে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২ শতাংশ সীমা তুলে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্ট‌্যাবলাই‌জেশন ফান্ড থে‌কে ১০০ কো‌টি টাকা বি‌নি‌য়ো‌গের জন‌্য আই‌সি‌বি‌কে নি‌র্দেশ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আই‌সি‌বি ই‌ত্যোম‌ধ্যে এটা নি‌য়ে কাজ শুরু ক‌রে‌ছে।বাণিজ্যিক ব‌্যাংকগু‌লোর যে ২০০ কো‌টি টাকা ক‌রে পুঁজিবাজারে বি‌নি‌য়ো‌গের কথা র‌য়ে‌ছে, বর্তমানে তা‌ বি‌নি‌য়ো‌গের জন‌্য বাংলা‌দেশ ব‌্যাংক ব‌্যাংকগু‌লো‌কে উৎসাহ দি‌চ্ছে। সেজন‌্য তিনি বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব‌্যাং‌ককে ধন‌্যবাদ জানান। যে সকল ব‌্যাংক এখনও ফান্ড গঠন ক‌রে‌নি। তা‌দের‌কে ফান্ড গঠন করার জন‌্যও বাংলাদেশ ব‌্যাংক নি‌র্দেশনা দি‌য়ে‌ছে।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ খায়রুল হোসেন কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।

ফ্লোর প্রাইস আরোপের আগে ১৮ মার্চ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমেছিল ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ারের দাম না নামায় ২৫ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার পয়েন্টে।

এক বছরেরও বেশি সময় পর শিবলী রুবাইয়াত কমিশন প্রথম দফায় গত বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের (পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়। এর পর গত ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা তুলে দেওয়া হয়।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে বলে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। আর দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা একই রকম ১০ শতাংশ রাখা হয়। পরবর্তীতে বাজার চাঙ্গাভাবে ফিরলে সেই ব্যবস্থাও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *