ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ভালো খবরের প্রভাব নেই পুঁজিবাজারে

অনলাইন নিউজ

পুঁজিবাজার হঠাৎ ধীরগতিতে এগাচ্ছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার একটু ভিন্ন মাত্রায় এগুচ্ছে পুঁজিবাজার। মুলত ফেব্রুয়ারির এই সময়টায় ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের ব্যাংক ফাইন্যান্স ধুমছে উত্থানে থাকতো। তবে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজার নিয়ে এতদিন ধরে যে জটিলতা ছিল খুব শিগগিরি তা কেটে যাবে। শিগগিরই এ বিষয়ে আইনে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ মার্কেট প্রাইজের পরিবর্তে কস্ট প্রাইজে গণনা করতে ব্যাংকিং আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে এমন খবর চাউর হওয়ার পরও পুঁজিবাজারে গতি ফিরে আসেনি। অথচ গত কয়েক বছর যাবত প্রাতিষ্ঠানিকরা বাজারকে গতিশীল করতে এমন দাবিই করে আসছিলেন। আগের দিনের তুলনায় সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হলেও শেয়ার কেনা- বেচা বাড়েনি। বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিওতে থাকা শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় নতুন ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পুঁজিবাজার সিন্ডিকেট লেনদেনের কবল থেকে বের হতে না পারায় বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বড় বিনিয়োগকারীদের লেনদেনকে অনুসরন করতে যাওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা লোকসানে পড়ছেন। তাই আইটেম ভিত্তিক প্রবণতা কাটছে না। তাই সামগ্রিকভাবে পুরো বাজারে নেতিবাচক ধারা বজায় রয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে কুইন সাউথ টেক্সটাইল, বিবিএস, ইয়াকিন পলিমার, ফরচুন সুজ, ডেল্টা লাইফ, বে´িমকোর মতো শেয়ারগুলোতে লেনদেন হয়েছে। বে´িমকো ছাড়া কোন শেয়ারই দর ধরে রাখতে পারেনি। উল্টো লোকসানে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। বিপুল পরিমাণ ফান্ড আটকে পড়ার কারণেই নতুন শেয়ার কিনতে না পারায় লেনদেনে উন্নতি ঘটছে না। মূলত আইটেমের পিছনে লেগে থাকার কারণেই পুরো বাজারে ভারসাম্য নস্ট হচ্ছে।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার উভয় পুঁজিবাজারেই সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে ১ হাজার ১৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের দিন থেকে ২৯৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার।ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭ হাজার ৮১ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৫টির, দর কমেছে ১২৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি কোম্পানির।অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭২০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩০৩ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির দর। সিএসইতে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *