নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার (সিআরও) ব্যক্তিগত সচিব মো. তৌহিদুল ইসলামকে সুদের ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নিজ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে মানব সম্পদ বিভাগে বদলি করা করা হয় বলে জানা গেছে।
১৩ জুলাই এ বিষয়ে এক কার্যাদেশ জারি করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।
জানা গেছে, ঢাক স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে সুদের বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন করছেন। সে ধরনের এক লেনদেনে স্বচ্ছতা বজায় না রাখায় তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিএসইতে লিখিত অভিযোগ করেন এক নারী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাঁকে বদলি করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অভ্যন্তরীণ এক চিঠিতে বিষয়টি পরিষ্কার হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, অফিসের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা–কর্মচারী নিজেদের মধ্যে সুদের বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন করছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেন অফিস সংস্কৃতির সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ও দৃষ্টিকটু। সম্প্রতি একজনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে, যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের লেনদেনে টাকা যথাসময়ে ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ আছে, যা প্রতারণার শামিল।
এ অবস্থায় ডিএসই কার্যালয়ে যেকোনো প্রকার অভ্যন্তরীণ, অনৈতিক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ আর্থিক লেনদেন এবং বাইরের কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন (সুদের বিনিময়ে) না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ডিএসইএর মানব সম্পদ বিভাগ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কারও বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠলে ডিএসইর চাকরিবিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে বদলি করা হয়েছে, তা ঠিক।’ তবে তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।