সর্বোচ্চ দরে জেএমআই হসপিটালের লেনদেন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের(আইপিও) মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন প্রথম দিন সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দর ২২ টাকায় শুরু হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আইপিওতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। প্রথম দিন কোম্পানিটির শেয়ার ২ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়ে ২২ টাকায় লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেনের ৫০ মিনিটের মাথায় কোম্পানিটির ১৫৮টি শেয়ার ৫ বার হাত বদল হতে দেখা যায়।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। এই হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০৮ পয়সা বা ৬ শতাংশ বেড়েছে।এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৬ টাকা। আগের অর্থবছর একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ৬১ পয়সা। এই হিসেবে কোম্পানিটির মুনাফা ০৫ পয়সা বা ৮ শতাংশ বেড়েছে।২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ০৮ পয়সা।

‘এন’ ক্যাটাগরিভক্ত জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে : “JHRML” এবং কোম্পানি কোড হচ্ছে : ৯৯৬৪৪।কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার ২৯ মার্চ বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২০ মার্চ প্রো-রাটার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদনকারীদের মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ৫১টি করে শেয়ার বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রবাসী বা বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বরাদ্দ পেয়েছেন ৫৮টি করে শেয়ার।কোম্পানিটির আইপিওতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।

কোম্পানিটির বিডিংয়ে (নিলামে) কাট-অফ প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাট-অফ প্রাইস থেকে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অর্থাৎ আইপিওতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। গত ৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টা থেকে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিডিং (নিলাম) অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সময়ে কোম্পানিটিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বিপরীতে ১৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকার দর প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিটি শেয়ারে ২৫ টাকা করে ১৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার দর প্রস্তাব জমা পড়েছে। যাতে কোম্পানির কাট-অফ প্রাইস ২৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।জেএমআই হসপিটালের বিডিংয়ে ৩৮৫ যোগ্য বিনিয়োগকারী দর প্রস্তাব করে। এরমধ্যে ১ জন সর্বনিম্ন ১৬ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন। এছাড়া ২ জন ২২ টাকা করে, ২ জন ২৩ টাকা করে ও ১ জন ২৪ টাকা করে দর প্রস্তাব করেছেন।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেয়।কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। ওই টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, ভবন তৈরী, মেশিনারীজ ক্রয়, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করবে।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭৮ পয়সায় এবং পুন:মূল্যায়নসহ নেট অ্যাসেট ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯৯ পয়সায়। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৪২ টাকা।এই টাকা উত্তোলনের কাজে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *