নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছরের ৪ এপ্রিল করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউনে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ হয়ে যাবে–এমন আতঙ্কে সেদিন সূচক পড়েছিল ১৮২ পয়েন্ট। সেদিনও ২৫১টি কোম্পানির শেয়ার দরে পতন হয়েছিল।
আজ সোমবার (১৮ এপ্রিল) শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে সাড়ে ৭২ পয়েন্ট। আর শেয়ারদর কমেছে ৩৪৭টি কোম্পানির বা ৯১ শতাংশ কোম্পানির। যা শেয়াবাজারে এক বিরল ঘটনা। ২০১০ সালের মহাধসের পর পতনের এমন দৃশ্য শেয়ারবাজারে আর দেখা যায়নি।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজার আবারও নাজুক অবস্থার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। এই জন্য তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে রশি টানাটানিকে দায়ি করছেন। বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুরত্বের কারণেই শেয়ারবাজার এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারমুখী হতে পারছে না। যদিও তাদের শেয়ারবাজারমুখী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সক্ষমতা রয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১১ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে তিন’শ পয়েন্টের বেশি। প্রায় প্রতিদিনই তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর নতুন বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ করে কমছে।
প্রতিদিনইড লেনদেনের শুরুতেই ক্রেতা সংকটের ডজন ডজন কোম্পানির অস্বাভাবিক দৃশ্য বিনিয়োগকারীদের আহাজারির ক্ষতকে বাড়িয়ে যাচেছ। এই অবস্থায় যেসব বিনিয়োগকারীর শেয়ার কেনার সামান্য কিছু সক্ষমতা রয়েছে, যদিও তাদের সংখ্যা নিতান্তই স্বল্প, তারা্ও শেয়ার কিনতে সাহস পাচ্ছেন না। আবার যারা শেয়ার বিক্রি করতে চান, তারা কম দরে বসিয়েও শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিনশেষে বেড়েছে কেবল ১৪টি কোম্পানির শেয়ারদর, যা গত বছরের ৪ এপ্রিলের পর এক দিনে এত কম কোম্পানির দর বাড়েনি। সেদিন লকডাউন আতঙ্কে কেবল সাতটি কোম্পানির দর বেড়েছিল।