নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধির লক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজকে বাজার মধ্যস্থকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সাথে বৈঠক করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৈঠকে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করে চার সিদ্ধান্তে নিয়েছে বিএসইসি।
বুধবার (৩০ মার্চ) বিএসইসির আগারগাঁও ভবনে বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএমবিএ ডিবিএ এবং অ্যাসেটম্যঅনেজম্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃদ্ধ।
আলোচনা সভার বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সভায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি সহ বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনা সভায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনগুলো বিএসইসির সাথে একমত হয়েছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশ ১০ হাজার কোটি টাকার যে বিশেষ ফান্ড গঠনের প্রস্তাবনা বিএসইসিতে জমা দিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পযালোচনা পূর্বক, এ ব্যপারে তহবিল গঠন পূর্বক ফান্ড উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।
যেসকল মার্চেন্ট ব্যাংকের ফোর্টপলিও ম্যানেজার আছে, তাদের নিজস্ব ফোর্টপলিওতে অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। তাদের নিজস্ব ফোর্টপলিওতে আগামী রমজান মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা নিয়োগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বিএসইসি থেকে সকল মার্চেন্ট ব্যাংককে এ বিষয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে।
ডিবিএ এর সভাপতি বিএসইসিকে আশ্বস্থ করেছেন, আগামী মাসে প্রত্যেক ডিলার ১ কোটি টাকা করে বাজার বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। এতে করে বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। যা শেয়ারবাজারের উন্নয়ন এবং তারল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেছেন, গত কিছুদিন ধরে অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে সাপোর্ট দিয়ে আসছে। যা ইত্যোমধ্যে লক্ষনীয়। আগামী মাসেও অ্যাসেম ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানিগুলো বাজারের উন্নয়নে সাপোর্ট দিবে।
এছাড়াও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী রমজান মাসে শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আগামী রমজান মাসে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।