নিজস্ব প্রতিবেদক : নয় ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ ট্রেডারের লেনদেন কার্যক্রমে বিতর্কিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিষয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল শুন্য দরে শেয়ার বিক্রয়াদেশ নিয়ে ৯ ব্রোকারেজ হাউজের ১৫ ট্রেডারের আচরনকে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মনে করে কমিশন। যে কারনে তাদের লেনদেন কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে এমন দর প্রস্তাব নিয়মের মধ্যেই রয়েছে এবং নিয়মিত ঘটায় বিএসইসির ১৫ ট্রেডারের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশকে মানতে পারেন না ব্রোকাররা। এ বিষয়ে গত ১৯ এপ্রিল শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বিএসইসির এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরে গত ২১ এপ্রিল ১৫ জন ট্রেডারের উপরে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয় ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও। যার ধারাবাহিকতায় আজ প্রত্যাহার করে নিল বিএসইসি।
চিঠিতে ডিবিএ জানায়, মার্কেট প্রাইস- এ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের একটি কার্যকর ও বৈধ পদ্ধতি। বর্তমান DSE Flex TP Trading Platform এ বিদ্যমান রয়েছে। শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় অর্ডারবুক মোতাবেক, অভিযুক্ত ট্রেডারগন উক্ত মার্কেট প্রাইস অপশন অনুসরণ করে শেয়ার বিক্রয়ের আদেশ প্রদান করে এবং একই প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন কর্তৃক সার্কিট ব্রেকার দেয়া থাকে। এ সার্কিট ব্রেকার প্রত্যেক কোম্পানির শেয়ারের দরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নসীমা নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় কোন ট্রেডার চাইলেই উক্ত সীমা অতিক্রম করে কম দরে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে না। অতএব অভিযুক্ত ট্রেডারগন ২% সার্কিট সীমার মধ্যেই শেয়ার বিক্রয় করেছে।
উল্লেখ্য যে, শূন্য দরে শেয়ার ক্রয়াদেশ ও বিক্রয়াদেশ প্রদানের কোন অপশন DSE-Flex-TP Trading Platform- এ নেই। তাই শূন্য দরে নয়, ট্রেডিং সিস্টেমে থাকা মার্কেট প্রাইস পদ্ধতি অনুসরণ করেই ট্রেডারগন শেয়ার বিক্রয় করেছে।
অভিযুক্ত ট্রেডাররা বিএসইসি কর্তৃক অনুমোদিত ডিএসই ট্রেডিং রেগুলেশন, ১৯৯৯ এর ১০(২)(বি) অনুসরন করে ট্রেডিং কার্যক্রম করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাদেরকে স্বপদে বহাল থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম চালানোর অনুমতি চাওয়া হয়।