নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেডের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু উদ্ভোধনের অপেক্ষা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ভোধন করার কথা রয়েছে। এই সোলার প্লান্টির উৎপাদন ক্ষমতা ঘন্টায় ২০০ থেকে ২৮০ মেগাওয়াট। বছরে উৎপাদন হবে ৩৫০ গিগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ।
জ্বালানি ব্যবহার করে যেখানে সমপরিমান বিদ্যুৎ উদপাদন করতে খরচ হতো ১৩২ কোটি লিটার ডিজেল, বেক্সিমকোর এই বিদ্যুৎ প্লান্টের উৎপাদন শুরু হলে কমবে বিদ্যুৎ খাতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার। এই প্রকল্প থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন শুরু হলে দেশের উত্তরের আট জেলায় ফিরতে শুরু করবে সুদিন। কমবে লোডসেডিং এবং সচল হবে শিল্প কারখানার চাকা।
বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইনও তৈরি করছে বেক্সিমকো লিমিটেড। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সোলার মডিউল সরবরাহের জন্য লঞ্জি সোলার টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। ইপিসি মেইন প্ল্যান্ট সরবরাহের জন্য রেজ পাওয়ার ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড ও জেটওয়ার্ক ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস প্রাইভেট লিমিটেডের কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
সুইচইয়ার্ড ও সাবস্টেশন নির্মাণের জন্য সরবরাহকারী হিসেবে এবিবির সঙ্গে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। আর ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের জন্য চুক্তি করা হয়েছে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে। এটিই দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এই চুক্তিটিকে দেশে সৌরবিদ্যুতের বিস্তারে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছে বেক্সিমকো।
কেন্দ্রটি নির্মাণে অর্থায়নের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে। বছরে ন্যূনতম ৯ শতাংশ মুনাফায় বেক্সিমকো সুকুক বন্ড ছাড়া হয়েছে।