নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেডের জামানত বাতিলে ৩ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংক ৩টি হচ্ছে-মেঘনা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও ব্যাংক অব সিলন। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আমান কটন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে তা জামানত রেখে উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত মালিকানার ২ কোম্পানির জন্য ঋণ নিয়েছিল। কোনো কারণে এই ঋণ খেলাপী হয়ে গেলে আইন অনুসারে ব্যাংক ৩টি জামানতের অর্থ থেকে তা সমন্বয় করে নেবে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আমান কটনের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সম্প্রতি আমান গ্রপের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ তৌফিকুল ইসলামকে যমুনা ব্যাংকের একটি মামলায় ঋণের জামানত নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে জেলে পাঠিয়েছেন রাজশাহীর একটি আদালত। এই ঘটনার পর আমান কটনের রাখা জামানতের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে।
কোম্পানিটি গত ২০১৮ সালে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। কোম্পানিটির প্রসপেক্টাসে বলা হয়েছিল, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন মেশিনারিজ কেনার জন্য ওই অর্থ ব্যাবহার করা হবে। কিন্তু এর কোনোটা-ই না করে কোম্পানিটি আইপিওর ৭৩ কোটি টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখে। আর ওই এফডিআরকে জামানত হিসেবে রেখে আমান কটনের উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত মালিকানার ২ কোম্পানি একিন ক্যারিজ লিমিটেড ও আমান ফুড লিমিটেডের নাম ঋণ নেওয়া হয়।
তখন বিএসইসি আমান কটনের ৪ পরিচালকের প্রত্যেককে তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করে। পাশাপাশি পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে এফডিআর ভেঙ্গে ওই টাকা আমান কটনের অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসির ওই নির্দেশ পরিপালন না করে উল্টো আইপিওর অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করে কোম্পানিটি। কমিশন ওই আবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ওই আবেদনে সম্মতি দেওয়ার সম্ভাবনা যে একেবারেই কম তা আলোচিত তিন ব্যাংককে জামানত বাতিলের নির্দেশের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেছে।