ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শেয়ার বাজার: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে স্বপ্নযাত্রা!

অনেক দিন পর আজ এমন একটি কথা বলার সাহস করছি—বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে সত্যিই সুদিনের আভাস মিলছে! দীর্ঘদিনের হতাশা ও ক্ষোভের গ্লানিময় পরিবেশে যখন বিনিয়োগকারীরা প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন, ঠিক তখনই নিরবে-নিভৃতে শুরু হয়ে গেছে এক ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা। অর্থনীতির বাতিঘর হিসেবে পরিচিত এই বাজারকে ঘিরে যে নীরব গুঞ্জন উঠেছে, তা বিনিয়োগ মহলে আশাবাদের নতুন হাওয়া বইয়ে দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে সম্মানিত নোবেল বিজয়ী ও বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস—যিনি কথার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাসী—চুপচাপ কাজ করে যাচ্ছেন এই বাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে। তাঁর মতো একজন নেতার উপস্থিতিতেই সরকার প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ভেতরে ভেতরে শক্ত ভিত গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA)-এর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) নিশ্চিত করেছেন যে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ। শুধুমাত্র রপ্তানি বা তৈরি পোশাক খাতে নয়, এই বিনিয়োগ বিস্তৃত হবে তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নির্মাণ এবং পুঁজিবাজারেও। এর ফলে বাজারে ফিরবে প্রাণ, এবং পুনর্গঠিত হবে বিনিয়োগকারীদের হারানো আস্থা।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এক নতুন অর্থনৈতিক দিগন্তের দিকে। শেয়ারবাজারের সূচক বেড়ে যেতে পারে দুই থেকে তিন হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত, এবং দৈনিক লেনদেন ছুঁতে পারে তিন হাজার কোটি টাকা—যা গত এক দশকে অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এই পরিসংখ্যান শুনে অনেকের মনে হতে পারে, “এ তো স্বপ্ন!” কিন্তু বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনেই ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে।

তবে মনে রাখতে হবে—শেয়ারবাজারে রাতারাতি পরিবর্তন আসে না। এখানে প্রয়োজন সময় ও ধৈর্য। যারা এখন থেকেই সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ভবিষ্যতে তাঁরাই সাফল্যের মুখ দেখবেন।

শেয়ারবাজার কেবল হিসাব-নিকাশের জায়গা নয়, এটি একপ্রকার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধও বটে। গুজবে কান দিলে বা আতঙ্কে ভুগলে টিকে থাকা কঠিন। সঠিক তথ্য, বাস্তবভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই একজন বিনিয়োগকারীর প্রধান অস্ত্র।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই ২০১০-পরবর্তী সময়ের মতো। তবে পার্থক্য হলো—এবার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. ইউনুসের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন কৌশলী, যিনি বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতীক। তিনি কেবল একজন অর্থনীতিবিদ নন, বরং এক দূরদর্শী পথপ্রদর্শকও।

ইতোমধ্যেই দেশে নতুন আইপিও (IPO) নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় সংস্কার ত্বরান্বিত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে এক বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

এই পরিবর্তনের অংশ হতে হলে ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীকেই নিতে হবে সঠিক প্রস্তুতি। সময়োচিত সিদ্ধান্তই এই সুযোগকে সফলতায় রূপ দিতে পারে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য জরুরি পরামর্শ:

১. গুজবে কান নয়, নির্ভরযোগ্য তথ্যই ভরসা: ফেসবুক-ইউটিউবের ভিত্তিহীন বিশ্লেষণ এড়িয়ে চলুন, প্রতিষ্ঠিত মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।

২. দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি: আজ কিনে কাল বিক্রি নয়; সম্ভাবনাময় কোম্পানিতে স্থায়ী বিনিয়োগে মনোনিবেশ করুন।

৩. বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনুন: একটি খাতে সব টাকা না ঢেলে তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্যাংকিং ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করুন।

৪. সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীরব প্রচেষ্টার ইতিবাচক ফল খুব শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।

৫. ধৈর্য ধরুন: হতাশ না হয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন—সময়মতো ফল অবশ্যই মিলবে।

বাংলাদেশ আজ এক নতুন অভিযাত্রায় পা রেখেছে। আর এই যাত্রার নেতৃত্বে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো দূরদর্শী নেতা, যার হাত ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। শেয়ারবাজার কেবল মুনাফার মাধ্যম নয়, এটি জাতির অর্থনৈতিক স্বপ্নপূরণের একটি হাতিয়ার। আর সেই স্বপ্নই এবার বাস্তবায়নের পথে।

যারা তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও ধৈর্যের সঙ্গে এগোবেন, তারাই হবেন আগামীর সফল বিনিয়োগকারী।

সুতরাং এখনই সময় আস্থা রাখার, প্রস্তুত হওয়ার ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। কারণ, “ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শেয়ার বাজার—এটাই বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন অধ্যায়!”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *